ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ | বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
(দ্বিতীয় অংশ) : শক্তি মদমত্ত, গোয়ার গোবিন্দ, প্রবল ক্ষমতাবান এবং রিপাবলিকান দলের মূল নিয়ন্ত্রক প্রাক্তণ প্রেসিডেন্ট বর্তমান সময়ে দারুণ ঝামেলায় আছেন। ২০২০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন প্রেস সেক্রেটারী এবং পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজ সংযোগ ও যোগাযোগ কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন সেই হোপ হিক্স হ্যাস মানি মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এমন সব তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন যা ট্রাম্পের জন্য বিপদজ্জনক হতে পারে।
দু’ দুজন নারীকে (ষ্টরমি ড্যানিয়েল বা স্টেফানি ক্লিফরড এবং প্লেবয় মডেল ক্যারেন মেডুগাল) কিভাবে, কার মাধ্যমে তাদের মুখ বন্ধ রাখার নিমিত্তে টাকা অর্পণ করা হয় এ বিবরণ হোপ হিক্স দিয়েছে। আরও বলেছেন অপপবংং ঐড়ষষুড়িড়ফ টেপ কি দারুণ ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ট্রাম্পের সহযোগীদের মনে। অত্যন্ত কাছের এবং বিশ্বস্ত মানুষ ছিলেন হোপ হিক্স। তাও সত্য কথা তার কাছে ট্রাম্প প্রকাশ করেননি। চাপা প্রকৃতির মানুষ তিনি ছিলেন না কস্মিনকালেও তবে কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করা তার ধাতে ছিল কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। তার ভাইয়ের মেয়ে মনোবিজ্ঞানী মেরী ট্রাম্প তার চাচাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ, নিঃসঙ্গ, আপন ভুবনে নিভৃতচারী এবং চরম স্বার্থপর মানুষ হিসেবে হর- হামেশাই গালমন্দ করেন।
শুনানিতে বাদি পক্ষের উকিল ম্যাথিও কোয়াঞ্জেলো ট্রাম্পের প্রাক্তণ হিসাব রক্ষণ নির্বাহী জ্যাফরি ম্যেকানিকে জেরার মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের চুলচেরা বিবরণ উদ্ধার করতে সমর্থ হোন। ট্রাম্পের এটর্নি মাইকেল কোহেনের নামে লিগাল ফী বাবদ ইস্যুকৃত চেকগুলোর প্রতিটিই ট্রাম্প কর্তৃক স্বাক্ষরিত। মোট ১৩০,০০০ ডলার চার কিস্তিতে স্টরমি ড্যানিয়েলকে পে করা হয়। এ পরম্পরায় নয়টি চেকের সন্ধান পাওয়া যায়। লেনদেনে ট্রাম্প সংস্থার হিসাব রক্ষণ প্রধান ওয়েলেস্লির সম্পৃক্ততা ছিল বলে সাক্ষী বলেন।
গত ৭ মে, ২০২৪ তারিখে স্টরমি ড্যানিয়েল সাক্ষ্য দানের জন্য কোর্টে হাজির হন। চৌত্রিশটি ফেলোনি কাউন্ট সম্বলিত এই মামলাটি মিথ্যে ব্যবসা রেকর্ড তৈরি করে যৌনাচার সম্পর্কিত ঘটনা যাতে ড্যানিয়েল প্রকাশ না করে অর্থাৎ তার মুখ বব্ধ করার জন্য, বিশেষত ২৯১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যখন সমাগত সে ক্রান্তিকালের। উল্লেখ্য,ইতিমধ্যেই এক্সেস হলিওড ভিডিওটি প্রকাশ হয়ে গেছে এমন সময় এই দুই নারীর ঘটনা জনসমক্ষে আসলে তা নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে এসবে এ কারণে এটর্নি মাইক কোহেনের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু কালের আবর্তে রাজনীতির নিষ্ঠুর খেলায় হ্যাস মানি (Hush Money trial) বিচার মামলা হিসেবে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক মারচানের এজলাসে শুরু হয়। বার বার নিষেধাজ্ঞা দেয়া সত্ত্বেও আদালতের নির্দেশের অবমাননা করে জুরী বোর্ডের সদস্য, কোর্টের কর্মচারী এবং বিচার কাজ প্রভাবিত হতে পারে এমন কথাবার্তা সংপৃক্ত যারা তাদের কাছে গালি গালাজ করে এবং ভীতি উদ্রেক হয় এমন ভাবে প্রচার করার কারণে ট্রাম্পকে মোট দশ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। সর্বশেষ এ বলা হয়েছে যে পুনরায় এমনটি হলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জেলে পাঠানো হতে পারে।
Posted ২:১৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh